রংপুরের বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রতিকেজিতে ১০-১৫ টাকা।
খাসি ও মুরগির দর অপরিবর্তিত থাকলেও বেপরোয়া গতিতে ছুটছে গরুর মাংসের কেজি। এছাড়া সবজি বাজারে সুখবর নেই, বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডালসহ বিভিন্ন প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য। মঙ্গলবার (১ মার্চ) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৬৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৯৫-২০০ এবং বোতলজাত পাঁচ লিটার তেল ৭৯৫-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে আমতলা বাজারের ব্যবসায়ী ভ্ট মিয়া বলেন, কী কারণে দাম বাড়লো তা জানা নেই।
বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও করতে হয়েছে সেভাবেই। এদিক, গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মরুগি ৫-১০ টাকা কমে ১৬০-১৬৫ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি আগের মতোই ২৭০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৪০-৬৫০ এবং খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।
লালবাগ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী সোলেমান মিয়া বলেন, বাজারে হঠাৎ করে গরুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়তি দামে গরু কেনার কারণে মাংসের দামও বাড়াতে হচ্ছে। এতে করে ক্রেতারা অসন্তোষ হয়ে পড়ছেন। কিন্তু করার কিছু নেই।শাপলা চত্বরের হোটেল ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, আগে এক কেজি গরুর মাংস ৫৬০-৫৮০ টাকায় কিনে রান্না করে ১২০ টাকা বাটি বিক্রি করতাম।
এখন বাড়তি দামে কিনে আগের মতোই বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লোকসান হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তত রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি টমেটো আগের দামেই ৩০-৩৫ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, মটরশুটি ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা, মূলা ১৫-২০ টাকা, করলা ১১০-১২০ টাকা, ধনিয়া ২০ টাকা, চিকন বেগুন ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, সিম ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫টাকা, লেবু প্রতিহালি ১৫টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকা, লাউ ৪০-৪৫ টাকা, কাঁচকলা হালি ২০-২৫ টাকা, পটল ১০০-১২০ টাকা, সজনে ২০০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টি আলু ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা ও রসুন আগের দরেই ৬০-৭০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি খুচরা বাজারে ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে কার্ডিনাল আলুর দাম সামান্য বেড়েছে। এখন ১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪ টাকা, গ্রানুলা ৮-১০ টাকাম শিল ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া খোলা চিনি ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা, মসুর ডাল মাঝারি ১০০ টাকা, চিকন ১২০ টাকা, আটা প্যাকেট ৪২ টাকা ও খোলা ৩৫ টাকা এবং ময়দা ৫৭-৬০ টাকা প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি ১-২ টাকা কমেছে। স্বর্ণা (মোটা) ৪৬-৪৮ টাকা থেকে কমে ৪৫-৪৬ টাকা, বিআর২৯ ২ টাকা কমে ৫৫ টাকা বি২৮ আগের মতোই ৫৮-৬০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা এবং নাজির শাইল ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মাছের দামে তেমন একটা হেরফের নেই। প্রায়ই অপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরণের মাছের দাম।